পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

মোঃ লিহাজ উদ্দিন (পঞ্চগড়)  : 

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। তবে তাপমাত্রা কম হলেও সকাল হতে বিকাল অবধি দেখা মিলছে ঝলমলে রোদের।  

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগারের সূত্র মতে, শনিবার  সকালে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত শুক্রবার সকালে তেঁতুলিয়ায়  তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১২.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এবার মৌসুমের শুরু থেকেই উত্তরের এই জনপদে শুরু হয়েছিল শীতের আবহ। বর্তমানে দিনভর ঝলমলে রোদ থাকায় দিনে গরম অনুভূত হলেও বিকেল হতে না হতেই শুরু হচ্ছে শীতের অনুভূতি। তবে আকাশ পরিষ্কার থাকায় দিনের বেলা রোদের কারণে দিন ও রাতের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে বেশ পার্থক্যের সৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার  পঞ্চগড়ের আকাশে মাঝে মাঝে মেঘ ভাসলেও ঝলমলে রোদ ঠান্ডাকে প্রতিহত করছে।

হিমালয়ের পাদদেশে  অবস্থিত পঞ্চগড় জেলায় প্রতিবছরই শীত কিছুটা আগেভাগে অনুভুত হয়। আর শীত বিদায়ও নেয় কিছুটা দেরিতে। শীতের এই মৌসুমে হিমালয় থেকে বয়ে আসা উত্তরের বাতাসে শীতল হয়ে যায় পুরো জেলা। বর্তমানে হেমন্তের শেষ দিকে এসেই এই জেলার বাসিন্দাদের সন্ধ্যা নামলে গায়ে পড়তে হচ্ছে শীতের কাপড়। এমনকি রাতে ঘুমাতে হচ্ছে লেপ-কম্বল মুড়িয়ে। রাত বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। শীতের কারনে জেলায় বাড়ছে ঠান্ডা জনিত রোগ।আক্রান্ত হচ্ছে  শিশু ও বৃদ্ধরা। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ জানান, উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হলেই কমে যায়  জেলার তাপমাত্রা। তবে দিনের বেলা রোদ থাকায় দিন ও রাতের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে ব্যবধান সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে একটি লঘুচাপের কারণে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আকাশে হালকা মেঘ জমতে পারে। এতে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। তবে ডিসেম্বরের শেষ দিকে এই এলাকায় দুটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।